কাব্য সাহা
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে দেড় বছর বন্ধ থাকার পর সপ্তাহে একদিন করে স্কুল-কলেজে পাঠদানের চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তবে এটা পরিবর্তন হতে পারে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ‘ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সার্ভিস’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা জানিয়েছেন উপমন্ত্রী।
প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল-কলেজ খোলার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এর সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে জানতে চাইলে উপমন্ত্রী নওফেল বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় যে সুনির্দিষ্ট তারিখ দিয়েছেন, সে অনুযায়ী ক্লাস শুরু হবে। তবে প্রাথমিকভাবে আমরা সপ্তাহে একদিন করে ক্লাস নেওয়ার চিন্তা করছি। সেটা পরিবর্তনও হতে পারে, হয়তো বা আরও বেশিদিন ক্লাস নিতে পারব। আপাতত এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত। তবে সর্বশেষ ঘোষণা আসা পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করতে হবে।’
উপমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিলেও করোনার সংক্রমণও যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, সেদিকে আমাদের বিশেষ লক্ষ্য থাকবে। যদিও এখন করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আছে, স্বাস্থ্য বিভাগের ওপর খুব বেশি চাপ নেই, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কারণে সেটা (সংক্রমণ) যাতে আবার বেড়ে না যায়, সেটাও আমাদের দেখতে হবে।’
স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘করোনার সংক্রমণের কারণে দেড় বছর আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের ওপর বিশেষ মানসিক চাপ তৈরি হয়েছে। যদিও আমরা অনলাইনের মাধ্যমে তাদের শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে যুক্ত রাখার চেষ্টা করেছি, কিন্তু সেটা কোনোভাবেই ক্লাসে শরীরী উপস্থিতির মতো হয়নি। আমরা চাই যে, আমাদের ছাত্রছাত্রীদের যে ক্ষতিটা হয়েছে, সেটা যাতে দ্রুত পুষিয়ে নিতে পারি।’
সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের মাধ্যমে সশরীরে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত আছে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই চলবে। নতুন সিলেবাসের রূপরেখা আমরা দাঁড় করিয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে নতুন সিলেবাস বাস্তবায়ন করা হবে।’
বিএসডি/কেএস/এমএম