নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রায় ১৮ মাস পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে সরকারকে সাধুবাদ জানিয়ে এই পদক্ষেপে সর্বাত্মক সহযোগিতার অঙ্গীকার জানিয়েছে ‘নিরাপদ ইশকুলে ফিরি’ ক্যাম্পেইন পরিচালনাকারী ১৮টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা।
সংস্থাগুলো বলছে, এ বছরের আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদযাপনে সরকারের এ সিদ্ধান্ত যোগ করেছে ভিন্ন মাত্রা। শিশু শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ‘নিরাপদ ইশকুলে ফিরি’ ক্যাম্পেইনটি সরকারি দিকনির্দেশনা মেনে নিরাপদে শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফেরাতে সরকারের সহায়ক হিসেবে কাজ করছে। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত রাখার আশা ব্যক্ত করছে ক্যাম্পেইনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো।
সুনির্দিষ্ট এবং বিস্তারিত বিবরণসহ একটি দিকনির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে শিশুদের স্কুলে ফেরানোর পরিকল্পনারও প্রশংসা করছে ক্যাম্পেইন পরিচালনাকারী সংস্থাগুলো। সেই সঙ্গে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকার কারণে মূলধারার শিক্ষা কার্যক্রম থেকে শিশুদের পিছিয়ে পড়া ও ঝরে যাওয়া, বাল্যবিবাহ ও শিশুশ্রম বেড়ে যাওয়া, অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে প্রান্তিক শিশুদের শতভাগ অংশগ্রহণ করতে না পারা সহ দীর্ঘ বিরতির ফলে শিশুদের মনস্তত্ত্বের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এসব বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আগামী দিনগুলোতে কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছে ক্যাম্পেইনটি। এ ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজন বলে মনে করছে ১৮টি সংস্থা।
সরকারের স্কুল খোলার উদ্যোগকে সফল করতে ও শিশুদের নিরাপদে মূলধারার শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরিয়ে আনতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি গত ১০ ফেব্রুয়ারি ‘নিরাপদ ইশকুলে ফিরি’ ক্যাম্পেইনটির উদ্বোধন করেন। সরকারের স্কুল খোলার পরিকল্পনায় সহযোগী ভূমিকা পালনের লক্ষ্যে এই ক্যাম্পেইনটি স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে অ্যাডভোকেসির পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে জনসচেতনতা তৈরিতে কাজ করছে।
ক্যাম্পেইনটিতে যোগদানকারী উন্নয়ন সংস্থাগুলো হল – ব্র্যাক, গণসাক্ষরতা অভিযান, ঢাকা আহছানিয়া মিশন, এডুকো বাংলাদেশ, এফআইভিডিবি, ফ্রেন্ডশিপ, হ্যাবিট্যাট ফর হিউম্যানিটি বাংলাদেশ, হ্যান্ডিক্যাপ ইন্টারন্যাশনাল- হিউম্যানিটি অ্যান্ড ইনক্লুশন, জাগরনী চক্র ফাউন্ডেশন, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, রুম টু রিড, সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ, সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ, স্ট্রমি ফাউন্ডেশন, টিচ ফর বাংলাদেশ, ভিএসও, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ও ইপসা।
বিএসডি/এমএম