নিজস্ব প্রতিবেদক,
ফেনীতে নিজ বাসায় দুবাই প্রবাসী স্বামী মো. সোহেল (৩৫)কে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যার ঘটনায় স্ত্রী শিউলি আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার (২১ আগস্ট) রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগন্নাত ইউনিয়নের নারানকরা এলাকার ছুট্টু মিয়ার বাড়ী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ফেনী র্যাব-৭’র একটি দল ওই স্থান থেকে গ্রেফতার করে ক্যাম্পে নিয়ে শিউলিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। তবে রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত র্যাবের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে ওই মুহূর্তে কোন কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ, গত শুক্রবার রাত ৩টার দিকে সোহেলকে ফেনী শহরের ছুফি সদর উদ্দিন সড়কস্থ তার ভাড়া বাসায় কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠে তার স্ত্রী শিউলির বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর থেকে শিউলি আক্তার পালাতক ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দুবাই প্রবাসী মো. সোহেলের সৎ মাকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রী শিউলি আক্তারের সাথে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। গত কোরবানি ঈদে প্রবাসী সোহেল দেশে ফিরলে সৎ মায়ের ভরণপোষণ নিয়ে স্ত্রীর সাথে ঝগড়া হয়।
একপর্যায়ে শুক্রবার রাত দু’টার দিকে তাদের মধ্যে ফের বাকবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তি হলে স্ত্রী শিউলি আক্তার দা দিয়ে স্বামী সোহেলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গলা কেটে খুন করে। পরে ৭ বছর বয়সী একটি ছেলে ও ৪ বছর বয়সী একটি কণ্যা সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ সকালে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। শনিবার ময়নাতদন্ত শেষে সোহেলের লাশ স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়। পরে জানাজা শেষে গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
ফেনী মডেল থানার ওসি নিজাম উদ্দিন জানান, নিহত সোহেল কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুনবতী ইউনিয়নের খাটরা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। তার স্ত্রীর বাড়িও একই উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামে। এ ঘটনায় নিহতের মা নিরালা বেগম বাদী হয়ে পুত্রবধূ শিউলি আক্তারকে আসামি করে শনিবার ফেনী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিএসডি/আইপি