বর্তমান সময় ডেস্কঃ
স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতার পুলিশের বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট (ভেস্ট) পরা ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর বগুড়ার ধুনট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে তাঁকে বগুড়া পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাতে তাঁকে ধুনট থানা থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ অক্টোবর সাজেদুল ইসলাম নামের এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা পুলিশের বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে ছবি তোলেন। পরে তিনি ওই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করেন। সাজেদুল ইসলাম বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি ধুনট উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নের সোনাহাটা গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এসআই শহিদুল ইসলাম ৩১ অক্টোবর দুপুরের দিকে পুলিশের কয়েক সদস্য নিয়ে সড়ক অবরোধকারী পিকেটারদের প্রতিরোধের জন্য উপজেলার সোনাহাটা বাজার এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় এসআই শহিদুল ইসলাম তাঁর পরনের বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটটি খুলে সোনাহাটা বিট পুলিশিং কার্যালয়ে টেবিলে রেখে দেন। সেখানে উপস্থিত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাজেদুল ইসলাম কৌশলে জ্যাকেটটি পরে একটি ছবি তোলেন। পরবর্তী সময়ে সেই ছবি তিনি ফেসবুকে পোস্ট করেন। মুহূর্তের মধ্যেই ছবিটি ছড়িয়ে পড়ে। নানা ধরনের নেতিবাচক মন্তব্যও লেখেন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা।
ধুনট থানা সূত্রে জানা গেছে, বিষয়টি নজরে আসার পর পুলিশ ওই রাতেই সোনাহাটা বাজার এলাকা থেকে সাজেদুল ইসলামকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে তিনি ছবিটি ফেসবুক থেকে সরিয়ে ফেলেন। তাঁকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে পুলিশে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিদেশে তদন্ত করা হয়। তদন্তে এসআই শহিদুল ইসলামের কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে বগুড়া পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, পুলিশের বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে ছবি ফেসবুকে দেওয়ায় সাজেদুল ইসলামকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে ভুল স্বীকার করায় তাঁকে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে তদন্ত করে কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এসআই শহিদুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বিএসডি/আরপি