নিজস্ব প্রতিবেদক,
নানা দূষণে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পাশে দুই শতাধিক গাছ মরে গেছে। ময়লা-আবর্জনা গাছের গোড়ায় ফেলা ও সড়কের পাশে অপরিকল্পিত ইটভাটা নির্মাণের কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
জানা গেছে, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের দেবিদ্বার পৌরসভার বারেরা, ভিরাল্লা, চরবাকর, বেগমাবাদ, জাফরগঞ্জ, চাপানগর, সাইলচর এলাকার সড়কের দুই পাশে রয়েছে শত শত সবুজ বনজ গাছ। এসব গাছের নিচেই ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। ফলে পরিবেশ দূষণসহ প্রায় দুই শতাধিক গাছ মরে গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ফুলগাছ তলা, বানিয়াপাড়া, মহিলা কলেজের সামনে, আজগর আলী মুন্সি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের সড়কেও গাছ মরে গেছে। যেকোনো সময় মরা গাছের ডালপালা সড়কের ওপর ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন।
স্থানীয় বাসিন্দা ফায়জুল ইসলাম ও মো. আলম জানান, পৌর শহরের কয়েকশ বাসাবাড়ি, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, শতাধিক হোটেল-রেস্টুরেন্টের বর্জ্য মহাসড়কের পাশে ফেলেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। তবে স্তূপে পরিণত হলে এসব ময়লা আগুন জ্বালিয়ে ধ্বংস করা হয়। এতে সড়কের পাশের গাছগুলো মরে যাচ্ছে। এছাড়া ভিরাল্লা, চরবাকর, বেগমবাদসহ কয়েকটি এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটার কারণে অর্ধশত গাছ মরে গেছে।
সাইফুল ইসলাম সজিবসহ একাধিক ভুক্তভোগী জানান, শুকনো গাছ ও ডালপালা মৃত্যুর কারণ হতে পারে। যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে মরাগাছ ও ডালপালা।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথের উপ-প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলেন, এসব গাছ বন বিভাগের তবে জায়গা আমাদের। আমাদের না জানিয়ে সড়কের কয়েকটি স্থানে ময়লা ফেলা হচ্ছে। এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
দেবিদ্বার উপজেলার সামাজিক বন কর্মকর্তা মো. আব্দুল মতিন বলেন, সড়কের দুই পাশে অনেক গাছ মরে গেছে। বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইউএনও রাকিব হাসান বলেন, নির্দিষ্ট ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় ময়লার স্তূপ পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়। তবে পৌর শহরের ফতেহাবাদ এলাকায় ১ একর জমিতে ডাম্পিং স্টেশনের কাজ চলছে।
বিএসডি/আইপি