নিজস্ব প্রতিবেদক,
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) একাডেমিক কাউন্সিলের ২৪০তম সভায় বিভিন্ন বিভাগের স্থগিত পরীক্ষাগুলো ১৬ আগস্টের পর থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমন্বয় করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। যার ফলে ১৬ আগস্ট থেকে বিভিন্ন বিভাগ পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করে।
জানা যায়, ১৬ আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ বিভাগের ৬২ বর্ষ বা সেমিস্টারের রুটিন ও ভর্তির তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে অধিকাংশ বিভাগের পরীক্ষা সকাল ১০টায় শুরু হওয়ায় শহরে থাকা শিক্ষার্থীদের শাটল ট্রেন ছাড়া যথাসময়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা কঠিন হবে বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা।
লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী সাকিব আহমেদ বলেন, কয়েকদিনের মধ্যেই আমাদের বিভাগের কয়েক সেশনের পরীক্ষা শুরু হবে। ট্রেন চালু না হলে সকাল ১০টার মধ্যে শহর থেকে ক্যাম্পাসে গিয়ে পরীক্ষায় অংশ নেওয়াটা কঠিন হবে। কারণ গণপরিবহনে তখন স্বাভাবিকভাবেই অনেক ভিড় থাকবে।
এদিকে পরীক্ষার রুটিন ও ফরম পূরণের তারিখ ঘোষণা করায় ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। বিভাগগুলোতে বাড়ছে শিক্ষার্থীদের ভিড়। কিন্তু শাটল ট্রেন ও আবাসিক হলগুলো বন্ধ থাকায় যাতায়াত ও থাকার সমস্যায় পড়ছেন অনেকে।
যদিও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নিতে ক্যাম্পাস ও ট্রেন চলাচল এখনো বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসগুলোতে শিক্ষার্থীর ভিড়ে বিপরীত চিত্রই দেখা যায়।
চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১০০ শতাংশ ভ্যাকসিনেশন না হলে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে না। তবে অসমাপ্ত পরীক্ষাগুলো নেওয়ার জন্য বিভাগগুলোকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমন্বয় করে পরীক্ষার তারিখ দিতে বলা হয়েছে বিভাগগুলোকে। এ ছাড়া হল ও শাটল ট্রেন বন্ধ থাকার শর্তে যদি শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে রাজি হয়, তবেই পরীক্ষা নেবে বিভাগগুলো।
তিনি বলেন, অনেকের কয়েক বিষয় পরীক্ষা আটকে থাকায় তারা বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছিল না। তাই ক্যাম্পাস খোলার আগেই এ পরীক্ষাগুলো নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন অনেক বিভাগ অধিকাংশ বর্ষের পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করেছে। এ বিষয়ে আমাদের অনলাইনে একটি সভা হয়েছে। বিভাগের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে পুনরায় মিটিং হওয়ার কথা রয়েছে।
শাটল ট্রেন চালুর বিষয়ে প্রক্টর বলেন, শাটলে যাতায়াতের মতো পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি। এখনো করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার অনেক বেশি। তাই ক্যাম্পাস খোলার আগে শাটল চালু করা হবে না। মন্ত্রণালয় আমাদের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনার টিকার হার জানতে চেয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রক্রিয়া চলছে, তবে সেটা ১০০ শতাংশ ভ্যাকসিন নিশ্চিত হওয়ার পর।
বিএসডি/আইপি