ন্যায্য পারিশ্রমিকের দাবি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে পথে নেমেছেন হলিউডের লেখক ও চিত্রনাট্যকাররা। তাদের এই আন্দোলনে অংশ নেন অভিনেতারাও। গত ছয় দশকে হলিউডে এত বড় আন্দোলন হয়নি। লেখকদের এই আন্দোলন রীতিমতো সাড়া জাগিয়েছে হলিউডে। এতে একদিকে যেমন স্তব্ধ হয়ে গেছে একাধিক বিগ বাজেট ছবির কাজ, তেমনি বেশ কিছু ছবি মুক্তির তারিখও পিছিয়ে দিতে হয়েছে।
এর মধ্যেই বিবিসি, সিএনএনের মতো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, ধর্মঘটের ১৪৬ দিন পর আশার আলো জ্বলছে হলিউডে। বৈঠক ও আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটা চুক্তিতে পৌঁছেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তবে চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেলেও এখনই ধর্মঘট তুলতে নারাজ হলিউডের লেখকরা। গিল্ডের সম্মতি ছাড়া কাজে ফিরবেন না তারা।
জানা গেছে, আগামী মঙ্গলবার ফের চুক্তির সমর্থনে ভোটাভুটির কর্মসূচি রয়েছে। তারপরেই ধর্মঘট তোলা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গত ২ মে থেকে আন্দোলনে নেমেছেন হলিউডের লেখক ও চিত্রনাট্যকাররা। পরিশ্রম ও কাজের ভিত্তিতে ন্যায্য পারিশ্রমিক দিতে হবে-এই দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন তারা। শুধু তা-ই নয়, ছবি বা সিরিজ অথবা যে কোনও সৃজনশীল কাজের ক্ষেত্রে শিল্পীদের বিকল্প হিসেবে কৃত্রিম মেধার ব্যবহারের বিরুদ্ধেও সরব হন তারা।
এই আন্দোলনে যুক্ত রয়েছে ডব্লিউজিএর প্রায় সাড়ে ১১ হাজার সদস্য। তাদের সঙ্গে অংশ নিয়েছে স্ক্রিন অ্যাক্টর্স গিল্ড-আমেরিকান ফেডারেশন অব টেলিভিশন অ্যান্ড রেডিও আর্টিস্টস তথা এসএজি–আফট্রার প্রায় এক লাখ ৬০ হাজার সদস্য। তাদের সঙ্গে রয়েছে অভিনেতাদের ইউনিয়নও।
হলিউডের এই ধর্মঘটে নিজেদের সমর্থন জানিয়েছিলেন টম ক্রুজ, রবার্ট ডাউনি জুনিয়র, কিলিয়ান মার্ফি, এমিলি ব্লান্ট, ফ্লোরেন্স পিউ, মার্গো রবি, ড্যানিয়েল র্যাডক্লিফ, প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার মতো তারকারাও।
বিএসডি/এসএস