নিজস্ব প্রতিবেদক:
রংপুরের পীরগঞ্জে সহিংসতার ঘটনায় র্যাবের হাতে গ্রেফতার ছাত্রলীগ নেতা সৈকত মন্ডল ও মসজিদের মুয়াজ্জিন রবিউল ইসলাম ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। রবিবার রাতে রংপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত- ২এর বিচারক দেলোয়ার হোসেনের নিকট তারা দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। সৈকত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় এবং রবিউল ইসলাম অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিযেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট জিআরও সহিদুল ইসলাম।
গ্রেফতার সৈকত মন্ডল রংপুর কারমাইকেল কলেজ ছাত্রলীগের দর্শন বিভাগের কমিটির সহ সভাপতি ছিলেন। সহিংস ঘটনার একদিন পরে ১৮ অক্টোবর তাকে ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। সৈকত মন্ডলের বাড়ি পীরগঞ্জের রামনাথপুর ইউনিয়নের মাঝিপাড়া গ্রামে। সৈকত বিভিন্ন সময়ে ফেসবুকে উসকানিমূলক পোস্ট ও মন্তব্য করতেন। সৈকতের বাবা রাশেদুল ইসলাম কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত না থাকলেও তার দাদা আবুল হোসেন মন্ডল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন। ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকলেও আগে থেকেই সৈকত ধর্মীয় একটি দলের আদর্শ অনুসরণ করতেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। ১৭ অক্টোবর সহিংস ঘটনার পর পরই সৈকত মন্ডল (২৪) রবিউল ইসলামসহ (৩৬) অনেকেই গ্রাম থেকে আত্মগোপনে চলে যান।
বিএসডি /আইপি