নিজস্ব প্রতিবেদক,
দেশের বাজারে কাঁচামরিচের দাম অস্থিতিশীল হওয়ায় দীর্ঘ ৮ মাস বন্ধের পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। এসব কাঁচামরিচ ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে পারে বলে আমদানিকারক সূত্রে জানা গেছে।
শনিবার (১৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ১টি ট্রাকে ১২ টন ৮৮২ কেজি কাঁচামরিচ আমদানি হয়। বগুড়ার আল মামুন ট্রেডার্স নামের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এসব কাঁচামরিচ আমদানি করে। যা ভারতের আসামের জমির উদ্দিন নামের রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান রফতানি করছে।
এসব কাঁচামরিচ ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে পারে বলে আমদানিকারক সুত্রে জানা গেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন দামে বেচাকেনা শুরু হয়নি। এছাড়া আরও কয়েকজন আমদানিকারক আইপি পেয়েছেন যাদের কাঁচামরিচ আজকেই হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ঢোকার কথা রয়েছে।
কাঁচামরিচ আমদানিকারক মনোনীত সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট রয়েল মল্লিক বলেন, সম্প্রতি দেশের বাজারে কাঁচামরিচের সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়ে অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি হয়েছে। এমন অবস্থায় কাঁচামরিচের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে ভারত থেকে বগুড়ার আল মামুন ট্রেডার্স নামের আমদানিকারক এই কাচামরিচ আমদানি করেন। আরও আগেই ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি হতো কিন্তু আইপি পেতে দেরী হওয়ায় তা পিছিয়ে যায়।
ভারতের কানপুর অঞ্চল থেকে প্রতিটন ৩শ’ মার্কিন ডলার মূল্যে এই কাচামরিচ আমদানি করা হচ্ছে। যা কাস্টমসে ৫শ’ মার্কিন ডলার মূল্যে শুল্কায়ন করা হচ্ছে। তাতে করে কেজিতে ২৫ টাকা ৫০ পয়সা শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে। বন্দর দিয়ে কাঁচামরিচের আমদানি অব্যাহত থাকলে দেশের বাজারে দাম কমে আসবে বলেও জানান তিনি।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, দেশের বাজারে কাঁচামরিচের দাম ঊর্ধ্বমুখি হওয়ায় দীর্ঘদিন বন্ধের পর ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। আজকে ইতোমধ্যেই একটি ট্রাক কাঁচামরিচ নিয়ে বন্দরে ভেতরে প্রবেশ করেছে, আরও ট্রাক দেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।
বন্দর দিয়ে অন্যান্য পণ্যের পাশাপাশি কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হওয়ায় সরকারের রাজস্ব আয় যেমন বেড়েছে, তেমনি উর্ধ্বমুখি বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে। কাঁচামরিচ যেহেতু একটি কাঁচাপণ্য গরমে অতি তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়, তাই কাস্টমসের প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করে তা দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহের ব্যবস্থা নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বিএসডি/আইপি