নিজস্ব প্রতিবেদক:
দিনাজপুরের হিলিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে সব ধরনের চালের দাম।
প্রতি কেজি চাল প্রকারভেদে কমেছে দুই থেকে তিন টাকা। দাম কমাতে খুশি সাধারণ ক্রেতারা। সরকারের ওএমএস এর চাল খোলা বাজারে বিক্রির কারণেই কমেছে চালের দাম বলছেন ব্যবসায়ীরা।
হিলি বাজারে মঙ্গলবার চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, ভারতীয় এলসি করা স্বর্ণা চাল প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৩৭ টাকা, এলসি রত্না চাল প্রতি কেজি ৪৩ থেকে ৪৪ টাকা, দেশী স্বর্ণা চাল ৩৭ থেকে ৩৮ টাকা, সম্পাকাটারি ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা, মিনিকেট ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা এবং গুটি স্বর্ণা ৩৪ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
চাল কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম জানান, আমরা গরীব মানুষ। রিকশা চালিয়ে জীবনযাপন করে থাকি। শীতের কারণে রিকশায় তেমন যাত্রী উঠছে না। ইনকামও তেমন হচ্ছে না। চালের দাম কিছুটা কমাতে আমাদের মতো গরীব অসহায়দের সুবিধা হয়েছে। তবে ৩০ টাকার মধ্যে প্রতি কেজি চালের দাম হলে আমার মতো গরীবদের অনেক সুবিধা হতো।
মর্জিনা বেগম নামে এক নারী জানান, সরকার থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল দিচ্ছে। সেই জন্য চাল নিতে এসছি। এতে আমার অনেক সুবিধা হয়েছে। কারণ হিলি বাজারে ৪০ টাকার উপরে প্রতিকেজি চাল। গরীব মানুষ, স্বামী নেই, কষ্টে সংসার চালাতে হয়।
চাল ব্যবসায়ী বাবুল হোসেন জানান, এক সপ্তাহের ব্যবধানে হিলির চালের পাইকারি বাজারে চালের দাম কিছুটা কমেছে। কেজি প্রতি প্রকারভেদে কমেছে দুই থেকে তিন টাকা। সরকারিভাবে চাল দেওয়ার কারণে বাজারে ক্রেতা না থাকার কারণে ব্যবসায়ীরা অল্প লাভে চাল বিক্রি করছেন।
আগে থেকে চাল বিক্রি অর্ধেকে নেমে এসেছে। আগে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ বস্তা চাল বিক্রি করতাম; এখন তা ১০ থেকে ২০ বস্তায় নেমে এসেছে।