বর্তমান সময় ডেস্ক:
সাংসারিক জীবনের খুঁটিনাটির মজার সব ভিডিও করে ইতোমধ্যে নেট দুনিয়ায় আলোচিত হাবিব-নাতালিয়া দম্পতি। তারা নিয়মিত ভ্রমণ, শপিং, রান্না-বান্না, খেলাধুলার ভিডিও আপলোড করেন ফেসবুক ও ইউটিউবে।
বাংলাদেশি ছেলে হাবিবকে বিয়ের পর এই প্রথম বাংলাদেশে এলেন বেলারুশের মেয়ে নাতালিয়া। সঙ্গে এসেছে তাদের একমাত্র কন্যা নাদিয়া। বাংলাদেশের সংস্কৃতি, আবহাওয়া ও লোকজনকে নাতালিয়ার খুবই ভালো লাগছে। এমনটি জানিয়েছেন হাবিব।
আজ বৃহস্পতিবার মুঠোফোনে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, ২১ ডিসেম্বর স্থানীয় বাসভবনে পারিবারিকভাবে আমাদের গায়ে হলুদের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। যেখানে আমাদের পরিবারের সবাই ছিলেন।
গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে হলুদ শাড়ি পরে বাঙালি বধূ সেজে নাতালিয়ার অনুভূতি, ‘অনেক ভালো লাগছে।’
হাবিব আরও বলেন, আজ বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর একটি কনভেনশন হলে আমাদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে পরিবারের বাইরের লোকজনও থাকবেন। তবে সে সংখ্যাটা খুবই সীমিত।
এ দম্পতি আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে থাকবেন।
যেভাবে নাতালিয়ার সঙ্গে হাবিবের পরিচত ও বিয়ে :
জার্মানির বিখ্যাত ফুটবল ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ স্টেডিয়ামে কাজ করতে গিয়ে হাবিবের সঙ্গে পরিচয় নাতালিয়ার। এরপর ২০১৭ সালের ৯ জুলাই বিয়ে করেন তারা। বর্তমানে তারা জার্মানির পূর্বাঞ্চলের সাক্সনি অঙ্গরাজ্যের কেমনিজ শহরে থাকেন।
হাবিবের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানায়। পড়াশোনা করেছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০১২ সালে জার্মানির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব মিউনিখে উচ্চশিক্ষার জন্য যান তিনি। বর্তমানে পড়াশোনা শেষে জার্মান একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালটিং ফার্মে ইন্টারন্যাশনাল প্রজেক্ট ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছেন। আর ফার্মাসিতে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে বর্তমানে নাতালিয়া একটি কোম্পানিতে ফার্মাসিস্ট হিসেবে কর্মরত।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত হয়ে ওঠেন যেভাবে:
২০২০ সালের অক্টোবরের শেষে শখের বশেই ‘নাতালিয়া অ্যান্ড হাবিব- দ্য মিক্স ম্যাচ ফ্যামিলি’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ খোলেন তারা। অল্পদিনেই তাদের ইউটিউব চ্যানেলটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তাদের ফেসবুক পেজের ফলোআরের সংখ্যা সাড়ে ২১ লাখ ছাড়িয়েছে। বিনোদনের পাশাপাশি সামাজিক বার্তামূলক ভিডিও, যেমন নারীদের সম্মান ও অধিকার, সাংসারিক কাজে পুরুষদের সহায়তা করা, বাচ্চাদের সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও তাদের দৈনন্দিন জীবনের পজিটিভ দিকগুলো তুলে ধরেন।
বিএসডি/ এলএল