বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে আবারও সারাদেশে প্রথম ডোজের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সিনোফার্মের টিকা দেশের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও জেলা সদর হাসপাতালসহ টিকা কেন্দ্রগুলোতে দেওয়া হবে। আর ফাইজারের টিকা কার্যক্রম প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলবে। আপাতত অগ্রাধিকারের ভিত্তিতেই সারাদেশে টিকা দেওয়া হবে।
বুধবার (৩০ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে এসব তথ্য জানিয়েছেন অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর ও কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক।
তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) দেশব্যাপী সিনোফার্মের টিকা কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। দেশের সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, সব জেলা সদর হাসপাতালসহ চট্টগ্রামের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশন ডিজিজেস হাসপাতাল ও সৈয়দপুর সদর হাসপাতালে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত টিকা দেওয়া হবে। ঢাকা শহরের মধ্যে আমরা আগে ৪৮টি কেন্দ্রে টিকা কার্যক্রম শুরু করেছিলাম, কিন্তু এই মুহূর্তে আটটি কেন্দ্রকে বাদ দিয়ে ৪০টি কেন্দ্রে পুরোদমে টিকাদান কার্যক্রম চালু করব।’
শামসুল হক বলেন, ‘অগ্রাধিকার তালিকায় যারা আছেন, বিশেষ করে মেডিক্যাল, নার্সিং ও ম্যাটস শিক্ষার্থীরা টিকা পাবেন। একইসঙ্গে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, পুলিশ বাহিনীর লোকজন ও অন্যান্য অগ্রাধিকার কর্মীরাও টিকা নিতে পারবেন। এছাড়াও যারা আগেই নিবন্ধন করে টিকা নিতে পারেননি তারাও নিতে পারবে।’
টিকা কর্মসূচির পরিচালক বলেন, ‘অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে যারা পাওয়ার যোগ্য তাদের জন্য আজ থেকে নিবন্ধন কার্যক্রম খুলে দেওয়া হচ্ছে। নিবন্ধনের পর কেন্দ্র থেকে যখন এসএমএস আসবে, তখন সে অনুযায়ী কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই টিকা কার্ড ও এনআইডি সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের করোনা টিকাদান কেন্দ্রগুলো লকডাউনের আওতা বহির্ভূত থাকবে। টিকা নেওয়ার জন্য বের হওয়া কাউকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জিজ্ঞাসাবাদ করলে টিকা কার্ডটি দেখাবেন ও কোনো কেন্দ্রে যাচ্ছেন সেটি বলবেন’।
যে ওয়েবসাইটে গিয়ে টিকার জন্য নিবন্ধন করা যাবে তা হলো https://surokkha.gov.bd/।