জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
মালয়েশিয়ান কোচ গোবীনাথান কৃষ্ণমূর্তি পুনরায় বাংলাদেশে এসেছেন বিকেএসপির উপদেষ্টা কোচ হয়ে। মাহবুব হারুন ব্যক্তিগত কারণে জাতীয় দলের দায়িত্ব নিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় তিনি আবার জিমিদের দায়িত্বে।
দ্বিতীয় মেয়াদে ইতোমধ্যে ১০দিন জিমিদের নিয়ে কাজ করেছেন গোবীনাথান। এই কয়েক দিন কাজের পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দু’দিন আগে কোচের টুর্নামেন্ট সম্পর্কে বক্তব্য, ‘১৪ মাস দল আন্তর্জাতিক প্রতিযোগীতা খেলেনি। এখানে যে দলগুলো এসেছে তারা আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে। তাই আমাদের কাজটা বেশ কঠিন।’
কাগজে-কলমে ও পারফরম্যান্সে বাংলাদেশ অংশগ্রহণকারী দলগুলোর চেয়ে পেছনে। তাই হকিপ্রেমীদের উচ্চাশা প্রকাশ না করার পরোক্ষ বার্তা কোচের কণ্ঠে। তবে ভালো খেলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন এই মালয়েশিয়ান, ‘একটা বিষয়ে নিশ্চয়তা দিতে পারি- আমাদের দল ও খেলোয়াড়রা ম্যাচগুলোতে নিজেদের সেরাটা দিবে।’
অধিনায়ক আশরাফুল ইসলাম কোচের সঙ্গে একমত, ‘আমরা কিন্তু অনেককিছু অর্জন করতে পারি। প্রতিপক্ষ দলগুলো র্যাঙ্কিংয়ে আমাদের চেয়ে ভালো। আমি যদি বলি শক্তিশালী দলগুলোর বিপক্ষে আমরা জিতব বা ড্র করব- তা বাস্তবসম্মত হবে না। স্বল্প সময়ের মধ্যে আমাদের দলটা প্রস্তুত করেছেন কোচ। এ প্রতিযোগিতায় আমাদের হারানোর কিছু নাই।আমরা ম্যাচগুলোতে নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চাই। নিজেদের সেরাটা দিতে চাই। এটাই প্রতিযোগিতায় আমাদের লক্ষ্য।’
গোবীনাথানের দল নতুন কয়েকজন খেলোয়াড় রয়েছেন। এই এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি তাদের জন্য বড় মঞ্চ হিসেবে মনে করছেন তিনি, ‘আমি দলে কিছু নবীন খেলোয়াড় রেখেছি। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্যই তাদের দলে রাখা। আগামী বছর বেশ কিছু প্রতিযোগিতা রয়েছে। সে আসরগুলোর জন্য নতুনরা এখান থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে। আশা করছি, এ প্রতিযোগিতা দিয়ে নতুনরা বিশ্বমানের প্রতিযোগিতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবে।’
নতুনদের ব্যাপারে আশরাফুল বলেন, ‘মঈনুল ইসলাম কৌশিক, মিলন হোসেন ও অসিম গোপ নিঃসন্দেহে ভালো খেলোয়াড়। তাদের পরিবর্তে যারা দলে সুযোগ পেয়েছেন, তারাও ভাল খেলোয়াড়। কোচের দৃষ্টিতে উল্লিখিতদের চেয়ে নবীনদের ভালো মনে হয়েছে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা মাথায় রেখে তিনি দল সাজিয়েছেন।’
বিএসডি/এসএফ