নিজস্ব প্রতিবেদক:
নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো। তা দিয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষ। তবে এক-দুই বছর নয়, ১৩০ বছর ধরে এভাবেই পারাপার হচ্ছেন চাঁদপুর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের বিষ্ণুদী এলাকার বাসিন্দারা।
সরেজমিনে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চাঁদপুর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের শেষ প্রান্তের তরপুরচন্ডী ইউনিয়নের ছৈয়ালকান্দি ও মেঘনা নদীর পাড়সহ বিভিন্ন স্থানের লোকজন সাঁকো দিয়ে পারাপার হয়। তাছাড়া স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, বিষ্ণুদী রোড বাজার, আনন্দ বাজার, মসজিদ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লোকজনকে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
জানা গেছে, সরদার বাড়ির কিছু পরিবার রাস্তা না থাকায় শহরের বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন। ওই বাড়ির বাসিন্দাদের একজন মফিজ সরদার। তিনি বলেন, আমাদের পূর্ব পুরুষরা এই সাঁকো দিয়ে চলাফেরা করেছে।রাস্তা না থাকায় কষ্ট করে আমাদের ছেলে-মেয়েদের স্কুলে যেতে হয়। কয়েক দিন আগে সাঁকো পার হওয়ার সময় এক সিরিয়ালে তিনটি বাচ্চা পড়ে যায়। পরে অন্য এলাকার কয়েকজন এসে তাদের উদ্ধার করে। তিনি আরও বলেন, সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে কোমলমতি শিশু, প্রসূতি ও স্ট্রোকের রোগী। আমরা খুব কষ্টে আছি। আমাদের এমন পরিস্থিতি নেই, এখানে একটি রাস্তা নির্মাণ করব। মেয়রসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে আবেদন করছি, এখানে একটি রাস্তা নির্মাণ করা হোক।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর চাঁদ মিয়া মাঝি ও ফরিদা ইলিয়াস বলেন, যাদের জমি ও পুকুর রয়েছে তারা রাস্তা করার জন্য জায়গা ছেড়ে দিচ্ছে না। তবে প্রতি বছর পৌরসভার পক্ষ থেকে সাঁকোটি সংস্কার করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুল রহমান জুয়েল বলেন, আমি পৌরসভার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অনেক জায়গায় রাস্তা তৈরি করে দিয়েছি। তবে আপনি যে সাঁকোর কথা বলছেন সেটি দীর্ঘতম সাঁকো। যে জমির ওপর রাস্তা হবে, সেই ভূমি মালিকদের সঙ্গে এখন পর্যন্ত সমঝোতা করতে পারিনি। তাদের নিয়ে আমাদের বসার চিন্তাভাবনা আছে। তারা যদি সম্মতি দেন, আমরা পৌরসভার অর্থায়নে এখানে রাস্তা করে দেব।
বিএসডি/ফয়সাল