নিজস্ব প্রতিনিধি
দেশের মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা বিশ্ববিদ্যালয় খোলার তারিখ ঘোষণা করেছে সরকার। ১৫ অক্টোবরের পর বিশ্ববিদ্যালয় খোলা যাবে বলে বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যৌথ বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা- এ দুই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী এবং তিন সচিব অংশ নিয়েছেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান ও সদস্য, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং করোনাসংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি কমিটির সদস্যরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের (ভিসি) আলোচনা শেষে ইউজিসি চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, আগামী ১৫ অক্টোবরের পর থেকে ধাপে ধাপে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা যাবে। তবে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের টিকা নেওয়ার বিষয়টি ছক আকারে ইউজিসিতে পাঠাতে হবে। যাদের টিকা কার্যক্রম শেষ হবে না তাদের বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেন তিনি।
এদিকে শিক্ষার্থীদের জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। যাদের এনআইডি নেই, গণটিকা চালুর আগে তাদের এনআইডি করে দ্রুত সময়ে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এটা না হলে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
একই বৈঠকে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বলবৎ থাকবে।
এদিকে দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার পর অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে খুলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হল।
তবে, আবাসিক হল খুললেও করোনা টিকা নেওয়া সাপেক্ষে শুরুতে হলে উঠবে স্নাতক (সম্মান) চতুর্থ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীরা। পরে বাকি শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের হলে থাকার অনুমতি দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভা শেষে সময় সংবাদকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির।
তিনি বলেন, সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ভ্যাক্সিনেশনের কাজটি করার জন্য সময় দেওয়া হয়েছে। কারণ অনেক শিক্ষার্থী এখনও টিকা নেয়নি। যদি শিক্ষার্থীরা সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখের মধ্যে করোনার টিকা কার্যক্রম সম্পন্ন করে এবং দেশের করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয় তাহলে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে হল খুলে দেওয়া হবে।
ড. আবদুল বাছির আরও বলেন, হল খোলার পর শুরুতে স্নাতকোত্তর এবং স্নাতক (সম্মান) চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের হলে তোলা হবে। তারা নভেম্বরের ১৫ তারিখের মধ্যে তাদের পরীক্ষা শেষ করে চলে যাবে।
এরপর প্রথম বর্ষ, দ্বিতীয় বর্ষ ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের হলে আনা হবে এবং তাদের পরীক্ষা এবং ক্লাস কার্যক্রম চলবে।
যখন চতুর্থ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে তাদের কার্যক্রম চালাবে, তখন প্রথম বর্ষ, দ্বিতীয় বর্ষ ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে তাদের কার্যক্রম চালাবে।
বিএসডি/এমএম