নিজস্ব প্রতিবেদক,
৪১৫ প্রতিষ্ঠানকে ১৬ লাখ ৯৩ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে সিদ্ধ নন-বাসমতি চাল ১৪ লাখ ৮৩ হাজার টন ও আতপ চাল ২ লাখ ১০ হাজার টন। কমানো শুল্কহারে চাল আমদানিতে আগ্রহী ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর আবেদনের শেষ দিনে এ অনুমতি দেয় সরকার।
সোমবার (৩০ আগস্ট) প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে আমদানির জন্য বরাদ্দ দিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়।
এর আগে, গত ১৭ আগস্ট ৪১ প্রতিষ্ঠানকে চার লাখ ১০ হাজার টন, ১৮ আগস্ট ৬৯ প্রতিষ্ঠানকে চার লাখ ১৮ হাজার টন, ২১ আগস্ট ৯১ প্রতিষ্ঠানকে তিন লাখ ৯১ হাজার টন, ২২ আগস্ট দুই লাখ ২২ হাজার টন সিদ্ধ এবং আতপ চাল আমদানির জন্য ৭৩ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেওয়া হয়।
এছাড়া ২৩ আগস্ট ৯৪ হাজার টন সিদ্ধ এবং আতপ চাল আমদানির জন্য ৪১ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান ও ২৪ আগস্ট ৫৭ হাজার টন সিদ্ধ এবং আতপ চাল আমদানির জন্য ৩৪ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
চাল আমদানির শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে- আমদানি করা চালে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ভাঙা দানা থাকতে পারবে। বরাদ্দ আদেশ জারির ১৫ দিনের মধ্যে এলসি (লেটার অব ক্রেডিট-ঋণপত্র) খুলতে হবে ও এ সংক্রান্ত তথ্য (বিল অব এন্ট্রিসহ) খাদ্য মন্ত্রণালয়কে ই-মেইলে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করতে হবে।
বরাদ্দ পাওয়া আমদানিকারকদের আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুরো চাল দেশে বাজারজাত করতে হবে। বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) ইস্যু করা যাবে না। আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে ফের প্যাকেটজাত করা যাবে না।
এছাড়া প্লাস্টিকের বস্তায় আমদানি করা চাল বিক্রি করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাংকে এলসি খুলতে ব্যর্থ হলে বরাদ্দ বাতিল হয়ে যাবে।
বিএসডি/আইপি