নিজস্ব প্রতিবেদক:
আগামী ২ এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত টেকনাফ-সেন্টমার্টিন দ্বীপ নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ হচ্ছে। টানা সাত মাস এ দ্বীপে পর্যটকের যাতায়াত বন্ধ থাকবে।
পর্যটক পারাপারে এ নৌরুটে চলাচল করছে ১০টি জাহাজ। বর্ষা মৌসুম ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকে। যার কারণে প্রশাসন এসব জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখে।
কেয়ারী সিন্দবাদ ও কেয়ারী ক্রজ এন্ড ডাইন জাহাজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলম বলেন, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন দ্বীপ নৌরুটে জাহাজ চলাচলের অনুমতি আছে ৩০ মার্চ পর্যন্ত। কিন্তু ২ এপ্রিল পর্যন্ত কিছু পর্যটক সেন্টমার্টিনে রাত্রিযাপন করবেন বলে তাদের আনার জন্য ওই দিন পর্যন্ত জাহাজ চলাচলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া ২ এপ্রিল সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে ফেরার সময় প্রতিটি জাহাজে দ্বীপের আবর্জনা বোঝাই করে টেকনাফে আনা হবে। এরপর এসব আবর্জনা টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় মাটিতে পুঁতে ফেলা হবে। আর প্লাস্টিক বর্জ্য লোকজনের কাছে বিক্রি করা হবে।
সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, দুই দিনের মাথায় দ্বীপে পর্যটকের আগমন বন্ধ হয়ে যাবে জেনে ইতোমধ্যে ২০-৩০টি হোটেল-রেস্তোরাঁ ও শতাধিক দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে। দ্বীপের ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। আগে দ্বীপের ৯০ শতাংশ মানুষ সাগরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কয়েক বছর ধরে অধিকাংশ মানুষ পর্যটকদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন।
এদিকে, কক্সবাজার হোটেল-গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, চলতি মৌসুমের পাঁচ মাসে (নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ)
সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেড়াতে আসেন অন্তত ৯ লাখ পর্যটক।
জাহাজ মালিকদের সংগঠন সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কুয়াব) সভাপতি তোফায়েল আহমদ বলেন, ১০টি জাহাজের ধারণ ক্ষমতা ৩ হাজার ২০০ জন। এ হিসেবে পাঁচ মাসে দ্বীপে বেড়াতে গেছেন ৪ লাখ ৮০ হাজার পর্যটক। মৌসুমের পাঁচ মাসে জাহাজগুলোতে টিকিট বিক্রি হয়েছে ২ লাখ ৯৩ হাজার। কিন্তু কাঠের ট্রলার ও স্পিডবোটে কতজন পর্যটক সেন্টমার্টিন দ্বীপে গেছেন, এ তথ্য জাহাজ মালিকদের কাছে নেই।
বিএসডি/ এলএল