নিজস্ব প্রতিবেদক:
বরিশাল বিভাগে শের-ই বাংলা মেডিকেলের একমাত্র বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটটি প্রায় ২০ মাস বন্ধ থাকার পর আবার চালু হয়েছে। ১৯ মাস ২৬ দিন বন্ধ থাকার পর আজ বুধবার সকালে ওই ইউনিটে যোগদান করেছেন ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক ডা. শরিফুল ইসলাম। ইতিমধ্যে কাজও শুরু করেছেন তিনি। তবে ইউনিটটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করতে আরও চিকিৎসক এবং দক্ষ জনবল দরকার বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
২০১৫ সালের ১২ মার্চ শের-ই বাংলা মেডিকেলের নিচ তলায় ১০ শয্যার বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট চালু হয়। চাহিদা বেশি থাকায় কিছুদিনের মধ্যে ইউনিটটি ৩০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। ওয়ার্ড পরিচালনার দায়িত্ব পান সহকারী অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান। বছর খানেক পর ডা. হাবিবুর রহমান অবসরে গেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাখাওয়াত হোসেনকে বরিশাল শেবাচিমের বার্ন ইউনিটে পদায়ন করা হয়। কিন্তু তিনি নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেননি। পরে সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. একেএম আজাদ সজলকে শেবাচিমের বার্ন ইউনিটের দায়িত্ব দেয়া হয়। ২০২০ সালে ২৮ এপ্রিল নগরীর একটি বেসরকারী ক্লিনিকে ডা. একেএম আজাদ সজলের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। একমাত্র চিকিৎসকের মৃত্যুতে চিকিৎসক শূন্যতার কারণে ওই বছরের ১৫ মে আনুষ্ঠানিকভাবে শেবাচিমের বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট বন্ধ করে দেয়া হয়।
সব শেষ ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক রোগী দগ্ধ হলে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ঢাকার ৭ জন চিকিৎসক শেবাচিমে দগ্ধ রোগীদের আপদকালীন সেবা দেয়। রোগীদের অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তারা গত মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকায় ফিরে যান।
এ অবস্থায় গতকাল বার্ন ইউনিটে স্থায়ীভাবে একজন বার্ন বিশেষজ্ঞ পদায়ন করা হয়। যোগদানের পর কাজও শুরু করেছেন তিনি। তবে দগ্ধ রোগীদের পূর্ণাঙ্গ সেবা পেতে আরও দক্ষ চিকিৎসকসহ জনবল দরকার বলে তিনি জানান। শের-ই বাংলা মেডিকেলের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বিএসডি/ এলএল