নিজস্ব প্রতিবেদক
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ব্লুপ্রিন্ট এঁকেছিলেন খোদ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে একাধিক সিনিয়র নেতা খালেদা জিয়াকে বাধা দিতে অনুরোধ করলেও তিনি কথা কানে তোলেননি। খালেদা জিয়া চাইলেই তারেক রহমান এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটাতে পারতেন না।
একাধিক বিশ্বস্ত সূত্রে আরো জানা গেছে, এ ঘটনা বিএনপির ইমেজ নষ্ট করার পাশাপাশি দলের রাজনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে জেনেও খালেদা জিয়া সে সময় নীরব ভূমিকা পালন করেছিলেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিরোধী দলকে নেতৃত্বশূন্য করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার চিন্তায় খালেদা জিয়া সম্ভবত ভয়ংকর এ পরিকল্পনার কথা জেনেও চোখ-কান বন্ধ রেখে সুবিধা নিতে চেয়েছিলেন। তবে ঘৃণ্যতম এ হামলা বিএনপির রাজনীতিকে সন্ত্রাসীদের দলে পরিণত করেছে।
বিভিন্ন গোপন সূত্র বলছে, ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার জন্য শুধু তারেক নন খালেদা জিয়াও পরোক্ষভাবে দায়ী। এ বিষয়টি বিএনপির সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কাছে ওপেন সিক্রেটের মতো।
বিরোধী দলকে নিঃশেষ করে দীর্ঘমেয়াদে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলে রাখতে খালেদা জিয়াও বিভিন্ন পথ খুঁজছিলেন। এরই মধ্যে বিরোধী দলীয় নেত্রীকে শেষ করতে তারেক রহমানের গোপন পরিকল্পনার কথা জানতে পেরে সমর্থন দেন খালেদা জিয়া।
তিনি ভেবেছিলেন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে তো খেল খতম, দীর্ঘকাল ক্ষমতায় থাকতে কোনো বাধা থাকবে না। আর পরিকল্পনা ভেস্তে গেলে ভুলভাল বুঝিয়ে কোনো একটি ইস্যু তৈরি করে বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়া যাবে। আর খালেদা জিয়ার এমন মনোভাব বুঝতে পেরেই তারেক রহমান আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। বিরোধী নেত্রীকে রাজনীতির পথ থেকে সরিয়ে দিতেই তারেক এ ঘটনা ঘটান। আর খালেদা জিয়া এর সুফল ভোগ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরিকল্পনা বিফলে যাওয়ায় জজ মিয়া নাটকের অবতারণা করে বিএনপি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের এমন ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ড ও দুর্নীতির কারণে বিএনপির এ দুর্দশা। তবে ২১শে আগস্টের মতো নারকীয় ঘটনার জন্য বিএনপিকে সারাজীবন অপবাদ সইতে হবে। এ অপকর্মের দায় বিএনপিকে সারাজীবন ভোগাবে।
বিএসডি/এমএম