আব্দুল আজিজ,
বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে নামেন নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল। এরপর তিন দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষে ২৭ আগস্ট থেকে অনুশীলন শুরু করে কিউই বাহিনী। এদিকে একই দিন অনুশীলন শুরু করবে মাহমুদউল্লাহ বাাহিনীও।
১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ৫ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এরপর ৩, ৫, ৮ ও ১০ সেপ্টেম্বর সিরিজের বাকি চারটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। সিরিজের প্রতিটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এর আগে টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডকে কখনো হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। খেলেছে দশটি ম্যাচ কিন্তু হেরেছে সবকটিতে।
কিউইদের বিপক্ষে টাইগারদের জন্য এবারের মিশন ছিলো পরাজয়ের বৃত্ত ভাঙ্গার মিশন। এবং সেই উদ্দেশ্য সামনে নিয়ে ১ সেপ্টেম্বর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ। টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামে নিউজিল্যান্ড। টাইগার বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৬০ রানেই গুটিয়ে যায় কিউইরা। জবাবে ৬১ রানের টার্গেট নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ এবং ৭ উইকেটে ৩০ বল হাতে রেখে খুব সহজেই ম্যাচ জিতে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতেই জয়ের পরাবৃত্ত ভাঙ্গে বাংলাদেশ। সেটাও বেশ দাপটের সঙ্গে।
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ ৩ সেপ্টেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে যায় বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৪১ রান সংগ্রহ করে ।
জবাবে ১৩৭ রানেই থেমে যায় ব্ল্যাকক্যাপসদের ইনিংস। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। এতে পাঁচ ম্যাচ টি-২০ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় টাইগাররা।
সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ সিরিজ জয়ের সপ্ন নিয়ে মাঠে নামে। টসে হেরে ফিল্ডিংয়ে যায় বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ড ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১২৮ রান। জবাবে ১২৯ রানের টার্গেট নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৭৬ রানে থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস সাথে বেড়ে যায় সিরিজ জয়ের অপেক্ষা।
চতুর্থ ম্যাচ ৮ সেপ্টেম্বর টসে হেরে ফিল্ডিংয়ে যায় বাংলাদেশ।প্রথম দুই ম্যাচ জেতার পর তৃতীয় ম্যাচে সিরিজ জয়ের সুযোগ হাতছাড়া করা বাংলাদেশের জন্য এই ম্যাচটি ছিলো অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন এবং পরম আকাঙ্ক্ষিত। সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে টাইগার বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৯৩ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড।
জবাবে বাংলাদেশ ৯৪ রানের টার্গেট নিয়ে সিরিজ জেতার আশায় মাঠে নামে এবং ৬ উইকেটে ম্যাচ এবং সিরিজ জিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় পায় টাইগাররা।
সিরিজের শেষ অর্থাৎ পঞ্চম ম্যাচটা ছিলো বাংলাদেশের সামনে নিয়ম রক্ষার ম্যাচ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচে আজ (শুক্রবার) ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে খেলতে নামে বাংলাদেশ দল। এই সিরিজের আগের ম্যাচগুলো হয়েছিল ৩ ও ৫ নম্বর উইকেটে। আজ শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ৪ নম্বর উইকেটে খেলতে নামে দুই দল। নিউজিল্যান্ড টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশি বোলারদের শাসন করে ১৬১ রান সংগ্রহ করে।
এবার কি পারবে বাংলাদেশ? এমনই এক প্রশ্ন ছিলো বাংলাদেশের সামনে। বাংলাদেশের লক্ষ্য ১৬২। এর আগে এতো রান তাড়া করে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ জিতেছে চারবার।
সর্বশেষটি এ বছরই, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ জিতেছিল ১৯৪ রান করে। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান রেকর্ডটা এসেছিল ২০১৮ সালে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেবার কলম্বোতে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল ২১৫। আর এবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬২ রানের বিশাল লক্ষ্য ছিলো বাংলাদেশের সামনে।
এবার পারবে বাংলাদেশ? এই প্রশ্নটা থেকেই গেলো বাংলাদেশের সামনে।
১৬২ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নামে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ১৩৪ রান তুলতে পারে স্বাগতিক বাংলাদেশ। এতে ২৭ রানে ম্যাচ হারতে হয় বাংলাদশকে। শেষটি জয়ে রাঙিয়ে ২-৩ ব্যবধানে সিরিজ শেষ করে নিউজিল্যান্ড।
বিএসডি/এএ