বর্তমান সময় ডেস্কঃ
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান করেছেন। এদিকে, এবারের জাতীয় নির্বাচনে ৩০০টি আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন সদ্য নিবন্ধন পাওয়া রাজনৈতিক দলটির চেয়ারপার্সন শমসের মুবিন চৌধুরি।
বুধবার (৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ‘আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান ও আলোচনা সভায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়। দলটিতে যোগদান করা নেতাকর্মীদের মধ্যে রয়েছেন কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও আইনজীবী।
এসময় তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপার্সন শমসের মুবিন চৌধুরী বলেন, গত ১৯ সেপ্টেম্বর আমাদের জাতীয় কাউন্সিল হয়। আজ অসংখ্য নেতাকর্মী তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান করেছেন। এটি প্রমাণ করে যে, বাংলার মানুষ একটি নতুন ধরনের রাজনীতি দেখতে চায়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সর্বস্বান্ত হয়ে আজ শ্রমিকরা রাস্তায় বিক্ষোভ করছে।
তিনি বলেন, সামনে নির্বাচন আসছে, আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। আসন্ন নির্বাচনে আমরা প্রতিটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। আমরা আশা করি নির্বাচন কমিশন তার ক্ষমতা যথাযথ প্রয়োগ করে একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করবে। জনগণ ভোট দেবে। আমরা হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না, সেটি লগি-বৈঠা দিয়ে হত্যা হোক কিংবা পেট্রোল বোমা দিয়ে হত্যা হোক।
তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, আমি আপনাদের অঙ্গীকার দিতে চাই যে, দলের সব সদস্য হবে এই দলের নেতা। তৃণমূল বিএনপির কাছে তাদের আসতে হবে না। তৃণমূল বিএনপি যাবে তৃণমূলের কাছে। দলীয় কমিটিসহ সব কিছু কেন্দ্রভিত্তিক হবে।
পুলিশের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিএনপি বলছে আমাদের নামে গাড়ি পোড়ানোর মামলা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু অনেকে আছে গাড়ি পোড়াতে জানে না। তবে পুলিশ ঢালাওভাবে মামলা দিয়ে দেয়। এই ব্যাপারে আমরা আমাদের সরকার প্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। কিন্তু যারা দল (তৃণমূল বিএনপি) করছে, তাদের বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা না নেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, আমি বলতে চাই তৃণমূল বিএনপি কোনো প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হবে না। এটা হবে জনগণের দল, জনবান্ধব দল। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করে বলতে চাই যে, তৃণমূল বিএনপি হবে বাংলাদেশের তৃণমূল কংগ্রেস।
আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, তৃণমূল বিএনপির কো-চেয়ারপার্সন কে. এ জাহাঙ্গীর মাজমাদার, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মো. আনাস আলী খান, নির্বাহী চেয়ারপার্সন অ্যাডভোকেট অন্তরা সেলিমা হুদা, সিনিয়র ভাইস চেয়ারপার্সন মেজর (অব.) ডা. শেখ হাবিবুর রহমান, ভাইস চেয়ারপার্সন ও মিডিয়া উইং চিফ সালাম মাহমুদসহ অনেকে।
বিএসডি/আরপি