বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি:
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ‘ফাইভজি ইকোসিস্টেম ইন বাংলাদেশ অ্যান্ড আপকামিং টেকনোলজিস’ শীর্ষক একটি ওয়েবিনারে তিনি এ তথ্য জানান। টেলিকম এবং টেকনোলজি সাংবাদিকদের সংগঠন টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, হুট করে বা খুব দ্রুত আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে ৫জি চালু করছি বিষয়টা এমন নয়। আমরা অনেক দিন থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি। কোন তারিখে ৫জি উদ্বোধন করা হবে তা এখন বলতে পারছি না, তবে ডিসেম্বর মাসে অনেকগুলো উৎসবের দিন রয়েছে, সেসব দিনের মধ্যে একটা দিনে উদ্বোধন করা হবে।
তিনি বলেন, অনেক বিনিয়োগকারী জিজ্ঞাস করে যে আমাদের ফাইভ জি দিতে পারবে কিনা। এ কারণে আমাদের পরিকল্পনায় শিল্পপণ্য তৈরি প্রতিষ্ঠান যেন ফাইভজি সেবা ভালোভাবে পায় সেটাও নিশ্চিতের প্রস্তুতি রয়েছে।
তিনি জানান, ৫টি ইকোনমিক জোনে ৫জি নেটওয়ার্ক দেওয়ার কাজ চলছে। আমাদের অনেক পার্টনার রয়েছে তাদের কথাও আমরা চিন্তা করছি। সবকিছু মিলিয়ে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। ৫জি কে ঘিরে জনগণের প্রয়োজন ও চাহিদাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, যিনি ২জি ব্যবহার করে তাকে যখন আমরা ৫জি ব্যবহার করাতে যাব, তখন আমাদের প্রস্তুতি থাকতে হবে। তাদের ছোট করে দেখার সুযোগ নাই। আমরা যে ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলেছি সেটাও কিন্তু মাথায় রাখতে হবে। সমগ্র জনগোষ্ঠীকে নিয়েই কাজ চলমান রয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বিভিন্ন প্রস্তুতি ও পরিকল্পনার তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে মোবাইল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। মোবাইল অপারেটর ও টাওয়ার অপারেটর বিটিআরসি সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
আলোচনায় অংশ নেন বিটিআরসির কমিশনার এ কে এম শহীদুজ্জামান, টেলিটক ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাহাব উদ্দীন, বাংলালিংক সিইও অ্যান্ড চেয়ারম্যান এমটব এরিক অস, গ্রামীনফোন সিইও ইয়াসির আজমান, রবি ভারপ্রাপ্ত সিইও, রিয়াজ রশীদসহ অনেকে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টিআরএনবির সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দে। সঞ্চালনায় ছিলেন টিআরএনবির সভাপতি রাশেদ মেহেদী।