জেলা প্রতিনিধি:
আবু হুজাইফার বয়স মাত্র ৮ মাস। যখন তার বয়স ৩ মাস ছিল তখন হৃদপিণ্ডে চারটি ছিদ্র ধরা পড়ে। তবে অভাবের কারণে তার তেমন চিকিৎসা করাতে পারেননি বাবা-মা। তবে তারা শিশুটিকে সুস্থ করার জন্য সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করে গেছেন।
শিশু আবু হুজাইফা নওগাঁর আত্রাই উপজেলার উদন পৈ গ্রামের ইমরান হোসেনের ছেলে। তবে তাদের বেশির ভাগ সময় কাটে নাটোর সদর উপজেলার রেলকলোনী এলাকায় হুজাইফার দাদির বাড়িতে।
ইমরান হোসেন দিনমজুরির কাজ করেন। অন্যের জমিতে কামলা দিয়ে দিন চলে তার। আবু হুজাইফা তাদের একমাত্র সন্তান। এ অবস্থায় আবু হুজাইফার বাবা ও মা ছেলেকে সুস্থ করতে চিকিৎসক ও বিত্তবানদের সাহায্য চেয়েছেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আবু হুজাইফার অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হলে সে সুস্থ হয়ে অন্য শিশুদের মতো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে। এজন্য প্রয়োজন হবে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা।
জানা যায়, আবু হুজাইফা অসুস্থ হওয়ার পর বেশ কয়েক জায়গায় চিকিৎসা করা হয়েছে। বগুড়ার পপুলার হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর পরিবার জানতে পারে তার হৃদপিণ্ডে চারটি ছিদ্র এবং রক্তনালী চিকন। এর কিছুদিন পর রাজধানীর ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানেও ডাক্তাররা বলেছেন, শিশুটির অপারেশন প্রয়োজন। এজন্য অনেক টাকা দরকার। চিকিৎসকের এমন কথা শুনে চিন্তায় পড়েছে শিশুটির বাবা-মা।
বাবা ইমরান হোসেন জানান, জন্মের পর আবু হুজাইফা স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে উঠছিল। কিন্তু তিন মাস পর সে অসুস্থ হতে থাকে। স্থানীয়ভাবে তাকে ডাক্তার দেখানো হয়। এরপর রোগ না সারায় প্রথমে নওগাঁ, পরে বগুড়া পপুলার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দেখানোর পর পরীক্ষা-নীরিক্ষায় হার্টে ছিদ্র ধরা পড়ে। পরে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউট ঢাকা নিয়ে গেলে সুস্থতার জন্য চিকিৎসক অপারেশনের কথা বলেন।
এজন্য প্রয়োজন হবে সাড়ে চার লাখ টাকা। পরে টাকার অভাবে চিকিৎসা না করিয়ে ছেলেকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়। চিকিৎসা না করাতে পারলে হয়তো ছেলেকে বাঁচাতে পারবেন না- এমন চিন্তায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন বাবা-মা। তাই সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ও সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন শিশু আবু হুজাইফার বাবা-মা। শিশু আবু হুজাইফার চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যাপারে খোঁজ নেয়া যাবে ০১৭৯২৭১৩৬৮৭ নম্বরে।
বিএসডি / আইকে