নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের অন্যতম গুণী চলচ্চিত্র নির্মাতা,ঔপন্যাসিক এবং সাংবাদিক জহির রায়হানের ৮৭তম জন্মদিন আজ। ১৯৩৫ সালের ১৯শে আগষ্ট ফেনী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এই কিংবদন্তি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।
১৯৬৩ সালে প্রথম ‘কখনো আসেনি’ চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন।এরপর থেকেই একের পর এক মর্মস্পর্শী চলচ্চিত্র নির্মাণ করে চলচ্চিত্রের প্রবাদ পুরুষ হয়ে ওঠেন তিনি।’স্টপ জেনোসাইড’,’লেট দেয়ার বি লাইট’,’এ স্টেট ইজ বর্ন’ জহির রায়হান নির্মিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র। ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে রচনা করেছিলেন ‘জীবন থেকে নেওয়া’।এছাড়াও আরো কালজয়ী কিছু চলচ্চিত্র নির্মাণ করে বাঙালি শিল্পসত্ত্বায় চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন জহির রায়হান। ‘শেষ বিকেলের মেয়ে’,গ্রামীণ জীবনের পটভূমিতে রচিত ‘হাজার বছর ধরে’,বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত ‘আরেক ফাল্গুন’, মধ্যবিত্ত পরিবারের কাহিনী রূপ নিয়ে রচিত ‘বরফগলা নদী’,’একুশে ফেব্রুয়ারী’সহ বেশকিছু চমৎকার উপন্যাসের রচয়িতা তিনি।
এছাড়া গল্পসমগ্র,প্রবন্ধ রচনার পাশাপাশি পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন তিনি। অনবদ্য এসব রচনার জন্য তিনি বহুবার সম্মানিত হয়েছেন।হাজার বছর ধরে উপন্যাসের জন্য ১৯৬৪ সালে আদমজী সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।কাচের দেয়াল চলচ্চিত্রের জন্য ১৯৬৫ সালে শ্রেষ্ঠ বাংলা চলচ্চিত্র বিভাগে নিগার পুরস্কার পান।১৯৭২ সালে গল্প সাহিত্যে অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি প্রদত্ত বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৭১) পান (মরণোত্তর)।১৯৭৭ সালে শিল্পকলায় (চলচ্চিত্র) অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক লাভ করেন (মরণোত্তর)।১৯৯২ সালে সাহিত্যে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার লাভ করেন (মরণোত্তর)।২০০৫ সালে হাজার বছর ধরে চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। মুক্তিযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর তার নিখোঁজ বড়ভাই শহীদুল্লাহ্ কায়সারের খোঁজে বের হন।১৯৭২ সালের ৩০শে জানুয়ারির পর তাকে আর পাওয়া যায়নি।
বিএসডি/এমএম