বিএনপিকে ভোট দেওয়ার কারণ তুলে ধরে যা বললেন আমীর খসরু

বিএনপিকে ভোট দেওয়া কারণ তুলে ধরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশে প্রথম বহুদলীয় গণতন্ত্র বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছে। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ফিরিয়ে এনেছেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। গণতন্ত্রের ইতিহাস বিএনপির সঙ্গে যুক্ত। এছাড়া বিএনপি অর্থনৈতিক মুক্তির পথও প্রথম খুলেছে।
বুধবার (৫ নভেন্বর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল আয়োজিত ‘আমার প্রথম ভোট ও আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির পরিকল্পিত অর্থনৈতিক নীতি সম্পর্কে আমীর খসরু বলেন, ভবিষ্যতের মেগাপ্রজেক্ট বাস্তবায়নে আমরা চারটি নীতি অনুসরণ করবো— ভ্যালু ফর মানি, রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং পরিবেশ সংরক্ষণ। ১৮ কোটি মানুষের জন্য আমাদের পরিকল্পনা হবে স্বচ্ছ ও সঠিক।
এর আগে, প্রশ্নোত্তর পর্বে এক প্রশ্নের জবাবে ‘যুব সমাজ ও মহিলাদের কর্মসংস্থানের প্রতি পরিকল্পনা’ রয়েছে বলে জানান আমীর খসরু।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ কাজ করে খেতে পারেন। কিন্তু যারা এসএসসি, এইচএসসি, বা বিএ পাস করেছেন তাদের ম্যানুয়াল কাজ করতে সমস্যা হয়। তাই আমরা এদের আইটি স্কিলে ডেভেলপ করব। আইটি রিলেটেড কাজে ৬ মাস বা এক বছর প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর তারা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতে সক্ষম হবে। মহিলারা অনলাইন প্ল্যাটফর্মেও কাজ করতে পারবেন। আমাদের লক্ষ্য— সবাইকে কর্মসংস্থানে আনতে হবে এবং অর্থনীতিকে গণতন্ত্রায়িত করা।
সাধারণত রাজনীতিবিদরা বক্তৃতা দিয়ে চলে যায়, কিন্তু বিএনপি নতুন ধারার রাজনীতিতে জনগণের সঙ্গে জবাবদিহিতাকে গুরুত্ব দিচ্ছে। দায়বদ্ধতার যে একটি প্রক্রিয়া, সেটি আমরা বিএনপিতে বিভিন্ন সভা ও সেমিনারের মাধ্যমে স্থাপন করছি। প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে জনগণের কাছে রাজনীতিবিদদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে।
আমীর খসরু বলেন, বৃহৎ সভাগুলোতে বক্তৃতার সময় কমিয়ে, প্রশ্নোত্তর পর্ব দীর্ঘ করা হচ্ছে। ঢাকায় এবং আজ চট্টগ্রামে সুন্দর প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটি আমাদের নতুন রাজনীতির সংস্কৃতি। যারা স্টেজে আসবেন, মাইকে সরাসরি মূল পয়েন্টে কথা বলবেন। অতিরিক্ত সম্বোধন বা জিন্দাবাদ ধ্বনি সময়ের অপচয়। নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের এই সংস্কৃতি গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি।
আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, আমরা চাই, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যুব সমাজ থেকে শুরু করে সবাই অর্থনৈতিক গণতন্ত্রায়নের সঙ্গে যুক্ত থাকুক। বাড়িতে বসেও মহিলারা বা পুরুষরা তৈরি পণ্য ডিজাইনিং ও ব্র্যান্ডিং সাপোর্টের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবে। এতে পণ্যের মান বৃদ্ধি পাবে এবং অর্থনীতিতে বিশাল অবদান, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য আরও বলেন, নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে জেন-জি। বিএনপি ও তারেক রহমান সেটি বুঝে পরিকল্পনা করেছে। আমাদের আগামীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিকল্পনায় সবকিছু অন্তর্ভুক্ত আছে।











