‘বিচারের আশায় নয়, নিরাপত্তার জন্য দাঁড়িয়েছি’

গাজীপুরে প্রকাশ্যে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার প্রতিবাদে কক্সবাজারে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের গুণগাছতলার শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের সামনে এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সংহতি জানিয়ে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে এই সমাবেশে অংশ নিতে দেখা গেছে।
'জার্নালিজম ইজ নট এ ক্রাইম', 'সাংবাদিক সাংবাদিকতা করতে ভয় পেলে দেশ এগোবে না' সহ বিভিন্ন ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড ছিল সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের হাতে।
আয়োজিত এই সমাবেশে কথা বলেন আর্ন্তজাতিক গণমাধ্যমের স্বাধীন সাংবাদিক তানভীরুল মিরাজ রিপন। তিনি বলেন, ‘আমরা পরিবর্তনের জন্য কাজ করছি, সংস্কারের জন্য কাজ করছি। একজন সাংবাদিক সরকার থেকে শুরু করে যে কোনো প্রভাবশালীকে প্রশ্ন করতে পারে। অথচ আমাদের সহকর্মীদেরকে এখন প্রকাশ্যে কুপিয়ে, ইটদিয়ে থেঁতলিয়ে মারা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, 'আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, আমার সহকর্মীরা ভয়ভীতিতে আছে। বিচারেই আশায় নয় আমরা এখানে নিরাপত্তার জন্য দাঁড়িয়েছি।'
সমাবেশে জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক আসিফ বাপ্পী বলেন, 'সাংবাদিকরা ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে জীবনের মায়া ত্যাগ করে অবিস্মরণীয় অবদান রেখেছেন। অথচ আজ তাদের পদে পদে বাধাগ্রস্থ করে 'নব্য ফ্যাসিজম' এর দিকে দেশকে ধাবিত করা হচ্ছে।'
সাংবাদিক আব্দুর রশিদ মানিক বলেন, 'মানুষ মরছে, আমরা মানুষ হত্যার প্রতিবাদে দাঁড়িয়েছি। সাংবাদিক হত্যা ও দমন-নিপীড়ন বন্ধ করতে সরকারকে কঠোর হতে হবে।'
উপস্থিত বক্তারা অনতিবিলম্বে আসাদুজ্জামান তুহীন হত্যাকারীদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দিবাগত রাত ৮টার দিকে গাজীপুরে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় আসাদুজ্জামান তুহিনকে (৩৮) কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভাটাপাড়ার বাসিন্দা তুহিন জাতীয় দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করতেন তুহিন।
হত্যাকাণ্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়।













